শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন আইনের অসঙ্গতি দূর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস এ ২১ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর ট্রাফিক সচেতনতা সপ্তাহের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তবে সেটা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের বাইরে কিছু করা সম্ভব নয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চালকদের লাইসেন্স প্রদানে সিস্টেমগত জটিলতা ছিল, বিধায় আইন প্রয়োগ শিথিলতার সময় বাড়ানো হয়েছে। সড়ক সবার জন্য নিরাপদ করতে, শৃঙ্খলা ফেরাতে, আইনের বাস্তবায়ন করতেই হবে।
তিনি বলেন, সবাইকে আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ট্রাফিক শৃঙ্খলা সভ্য জাতির প্রতীক। একটি প্রাণও যাতে ক্ষতির মুখোমুখি না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
এরআগে বুধবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা।
এরপর দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেতারা।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে ৯ দফা দাবি দিয়েছিল তা নিয়ে আলোচনা করেছি। তারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা বেশকিছু আইন সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। আর তাদের যেসব কাগজপত্র সমস্যা রয়েছে তা ঠিক করতে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে একটা অসঙ্গতি ছিল। আমরা তাদের লাইসেন্স সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দিতে পারছিলাম না। এই অবস্থায় এখন তারা যেই ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন, তা দিয়েই আগামী জুন পর্যন্ত চালাবেন। জুনের মধ্যে বিআরটিএ’র মাধ্যমে তারা গাড়ির লাইসেন্স ঠিক করে নেবেন।’
মন্ত্রী বলেন, বৈঠকের মাধ্যমে প্রণীত আইনের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত মোটেও আইনপরিপন্থী নয়। আইনটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু অসঙ্গতি আমাদেরও রয়েছে যেমন, পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা আমরা করতে পারিনি। সেগুলোই বিবেচনা করা হবে।
এরও আগে মঙ্গলবার বিকালে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকেও আইন কার্যকর না করার দাবি জানান পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।
এরপর মঙ্গলবার তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড কার্যালয়ে ঐক্য পরিষদের নেতারা এক সংবাদ সম্মেলনে পণ্য পরিবহনে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১৭ দিন প্রচার প্রচারণার পর সোমবার থেকে আইনটি প্রয়োগ শুরু করে পরিবহন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিআরটিএ)।